35 C
Dhaka
আজঃ শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৫

Live TV

কুয়াকাটায় সাংবাদিক ও তাঁর বাবাকে মারধরের অভিযোগ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক সাংবাদিক ও তাঁর বয়োবৃদ্ধ বাবাকে কৃষক দল ও শ্রমিক দল নেতার নেতৃত্বে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর আহত বাচ্চু ও তাঁর বাবাকে উদ্ধার করে কুয়াকাটা ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুয়াকাটা চৌরাস্তা এলাকায় মারধরের শিকার হন তাঁরা।

আহত সাংবাদিকের নাম কে এম বাচ্চু খলিফা। তিনি দৈনিক দেশ রূপান্তরের কুয়াকাটা প্রতিনিধি এবং কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সভাপতি। তাঁর বাবার নাম মো. ইউনুচ খলিফা।

অভিযুক্তরা হলেন কুয়াকাটা শ্রমিক দলের সহসভাপতি জসিম মৃধা, পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলী খন্দকার এবং শ্রমিক দলের শহীদ ও কাদেরের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। তাঁরা সবাই কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশারফ হোসেনের অনুসারী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সাংবাদিক কে এম বাচ্চুর বাবা ইউনুচ খলিফা গতকাল রাত ৮টার দিকে চৌরাস্তা এলাকায় বসে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেখানে ওই এলাকার এক বাদাম বিক্রেতার সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলী খন্দকার। এ সময় আলী খন্দকার ওই বাদাম বিক্রেতাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে ইউনুচ খলিফা এর প্রতিবাদ করলে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায় আলী খন্দকার।

এর কিছুক্ষণ পর বাবাকে মারধরের খবর পেয়ে সাংবাদিক বাচ্চু সেখানে পৌঁছালে পৌর শ্রমিক দলের সহসভাপতি জসিম মৃধা ও আলী খন্দকারের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন তাঁকে লাঠিসোঁটা নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে স্থানীয়রা বাচ্চু ও তাঁর বাবাকে উদ্ধার করে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে যান।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল বলেন, ‘বাচ্চুকে তিন-চারজন মিলে মারধর করেছে। এমন অবস্থায় আমি তাঁকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও মারধর করা হয়। তবে আমি না গেলে ওকে মেরেই ফেলত মনে হয়।’

তবে অভিযোগের বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলী খন্দকার বলেন, ‘আমি কারও ওপর কোনো হামলা করিনি, অভিযোগ মিথ্যা।’

কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সহসভাপতি জসিম মৃধা পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি ওখানে গিয়ে দেখি বাচ্চু খলিফাকে মারধর করা হচ্ছে। পরে আমি মারধর থামাতে গেলে বাচ্চু নিজেই আমার ওপর হামলা চালায়। আমি বর্তমানে কুয়াকাটা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি।’

এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ ধরনের আরো খবরঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরাঃ

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe

EYE TV Bangla

সাম্প্রতিক খবরঃ