জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর অভিনয় ও গানে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। তিনি দেশীয় সংস্কৃতির অনেক শাখায় কাজ করেছেন।দেশের একজন জনপ্রিয় সংগীত তারকা হয়েও সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় কাজ করাটা আঁখি আলমগীরের যেনো রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সংগীতে ক্যারিয়ার গড়ার সেই শৈশবে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘ভাত দে’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে অসাধারণ অভিনয় করে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন আঁখি।নিজের প্রজন্ম, তার আগের প্রজন্ম কিংবা পরের প্রজন্মের গায়িকাদের জন্যে ঈর্ষণীয় ক্যারিয়ার গড়ে আঁখি এখন দেশের প্রতিষ্ঠিত সেলিব্রেটি গায়িকা। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর বাবা আলমগীরের পরিচালনায় ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমায় গান গেয়ে প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবেও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান আঁখি।
শিশু অভিনেত্রী আর গায়িকা হিসেবে একই ব্যক্তির জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার মতো এমন বিরল ও দুর্লভ রেকর্ডের অধিকারী এমন কাউকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।আঁখি কণ্ঠশিল্পী হলেও নিজের পেশার বাইরে গিয়ে বারবার ভিন্ন ভিন্ন পেশার কাজে যুক্ত হয়েছেন বিভিন্ন সময়। সম্প্রতি আবারও অন্য পেশার কাজে নিজের সহজাত প্রতিভা মেলে ধরলেন। চিত্রনির্মাতা অনন্য মামুনের পরিচালনায় একটি অভিজাত আবাসিক হোটেলের বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
নতুন বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেলিং করা প্রসঙ্গে আঁখি আলমগীর বলেন, এর আগেও অনন্য মামুনের নির্দেশনায় বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেছি। এটা নিয়ে তার নির্দেশনায় আমার দ্বিতীয় কাজ। মামুনের নির্দেশনা বেশ গোছানো। যে হোটেলের বিজ্ঞাপনচিত্রের কাজ করলাম সেই হোটেলটির পরিবেশ এক কথায় দুর্দান্ত। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।
বিজ্ঞাপনচিত্রটি প্রচারে এলে সবাই তা অনুভব করতে পারবেন। ফেরদৌসের সঙ্গে জুটি বেঁধে বিভিন্ন কাজ করা প্রসঙ্গে আঁখি বলেন, ওর সঙ্গে আমি প্রথম কাজ করি আমার গাওয়া বাবুজি গানটির মিউজিক ভিডিওতে। সেটিই তার প্রথম ও একমাত্র মিউজিক ভিডিওতে মডেল হওয়া। এরপর টিভি চ্যানেলের ঈদের অনুষ্ঠানে আমরা ডুয়েট নাচ করি।এরপর একটি ওভিসিতে দুজনে জুটিবদ্ধ হয়ে প্রথমবার বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেলিং করি।