আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
২০২১ আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখল করার পর নারী শিক্ষা, নারীদের কাজের ওপর বিভিন নিপীড়নমূলক আইন জারি করে। বর্তমানে সিরিয়ার বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন হয়েছে কট্টরপন্থি ইসলামিক গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) কাছে। এইচটিএস একসময় সিরিয়ার আল-কায়েদা শাখার সঙ্গে জড়িত ছিল।
তবে এইচটিএস বলছে, তারা এখন নিজেদের বদলে ফেলেছে এবং সবাইকে নিয়ে কাজ করার মতো একটি ব্যবস্থা চালু করতে চায়। তাদের মূল লক্ষ্য এখন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।
বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আফগানিস্তানের আদলে সিরিয়াকে গড়ে তোলার সম্ভাবনার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন (এইচটিএস) প্রধান আহমাদ আল-শারা। আসাদের পতনে নেতৃত্ব দেওয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠীর এই নেতা বলেছেন, আফগানিস্তান একটি গোষ্ঠীভিত্তিক সমাজব্যবস্থা। সেখানে ভিন্ন রীতিনীতি রয়েছে। সিরিয়ায় মানুষের চিন্তাধারা সম্পূর্ণ আলাদা।
নারী শিক্ষার ব্যাপারে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেছেন, ইদলিবে প্রায় আট বছর ধরে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় চালু আছে। যতদূর জানি, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া নারীর সংখ্যা ৬০ শতাংশের বেশি।
সিরিয়ার মদ্যপান অনুমোদন করা হবে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, অনেক বিষয় নিয়ে আমার মন্তব্য করার অধিকার নেই। কারণ, এগুলো আইনি ব্যাপার।
আল-শারা জানিয়েছেন, একটি আইনি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হবে। তারা সংবিধান প্রণয়ন করবেন। প্রণীত সংবিধান অনুযায়ী যে কোনও শাসক বা প্রেসিডেন্টকে চলতে হবে।
এদিকে সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করা হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যোগাযোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। যদিও এর আগে গোষ্ঠীটিকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যেই এইচটিএসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হবে কি না, তা পুনর্বিবেচনা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। একইভাবে এইচটিএস নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র পুরোনো কৌশল পাল্টাতে উৎসাহিত হতে পারে।