২০২৪ সালে গড়ে প্রতিদিন ৪ লাখ ৬৭ হাজার ক্ষতিকর ফাইল শনাক্ত করেছে গ্লোবাল সাইবার নিরাপত্তায় নিয়োজিত ডিটেকশন সিস্টেম। ২০২৩ সালের তুলনায় সংখ্যায় যা ১৪ শতাংশ বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু সুনির্দিষ্ট ঘরানার সাইবার হুমকি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
ইতোমধ্যে ট্রোজান শনাক্তকরণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৩ শতাংশ। উল্লিখিত সব তথ্য ক্যাসপারস্কি সিকিউরিটি বুলেটিন (কেএসবি) সূত্রে জানা গেছে। প্রতিবছরের মতো এ বছরও ক্যাসপারস্কি তাদের বার্ষিক রিপোর্টে সাইবার নিরাপত্তা বিভাগে ঘটে যাওয়া সবকটি পরিবর্তন বিশ্লেষণ করেছে।
ক্যাসপারস্কির অ্যান্টিম্যালওয়্যার রিসার্চপ্রধান ভ্লাদিমির কুসকভ জানান, প্রতিবছর সাইবার চক্র নতুন ম্যালওয়্যার, কৌশল ও আক্রমণের পদ্ধতি তৈরি করে সাইবার হামলার পরিধি বাড়িয়েছে। চলতি বছরেও বেশ কিছু বিপজ্জনক প্রবণতা লক্ষ্য করেছি, যেমন– বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক (ট্রাস্টটেড রিলেশনশিপ) ও সাপ্লাই চেইনের ওপর আক্রমণ। অন্যদিকে, ওপেন সোর্স প্যাকেজেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক মাধ্যমে লক্ষ্য করে ব্যাপক ফিশিং ও ব্যাংকিং ম্যালওয়্যার ছড়িয়েছে। এসব আক্রমণে ব্যবহৃত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। বিশেষজ্ঞরা নতুন ধরন ও জটিল সাইবার হুমকি সামলাতে নিয়মিত কাজ করছেন।
সাইবার আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্ম; প্রতিদিন ৯৩ শতাংশ ম্যালওয়্যার এখানে শনাক্ত হয়েছে। জানা গেছে, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে উইন্ডোজে ম্যালওয়্যার আক্রমণ বেড়েছে ১৯ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রোজান ম্যালওয়্যারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৩ শতাংশ। ট্রোজান-ড্রপার্স এমন ক্ষতিকর সফটওয়্যার, যা স্ক্রিপ্ট বা এমএস অফিস ডকুমেন্টের মাধ্যমে বিশেষ ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষায় আনট্রাস্টেড সোর্স থেকে অ্যাপ ডাউনলোড, সন্দেহজনক লিঙ্কে ক্লিক ও নিরাপত্তা সফটওয়্যার বন্ধ করা এড়িয়ে চলতে হবে। টু-ফ্যাক্টর সিকিউরিটি ও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার প্রয়োজন। আপডেট থাকলে তা দ্রুত ইনস্টল ও সিকিউরিটি সল্যুশন ব্যবহার করাই শ্রেয়।