২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশ চলাকালীন ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে ভিডিওসহ বিদেশি দূতাবাসগুলোতে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
এছাড়া ২৮ অক্টোবর কেন মহাসমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে, ওইদিন কেন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে এবং এরজন্য কে দায়ী ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ইংরেজি ভাষায় একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছে বিএনপি।
এতে বিএনপি দাবি করেছে, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধিনস্ত কিছু কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের কর্মীরা হামলা চালিয়েছে। মূলত দেশের মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতেই এই মহাসমাবেশ আয়োজন করা হয়েছিল।
বিবৃতিতে বিএনপি আরও জানিয়েছে, ওইদিন দুর্ভাগ্যজনকভাবে এক পুলিশ সদস্য মারা যাওয়ায় বিএনপির উচ্চপদস্থ নেতাদের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার, হয়রানি ও নির্বাচনের আগে আইনি জটিলতায় ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এছাড়াও বিএনপি অভিযোগ করেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগ ব্যবহার করে তাদের শান্তিপ্রিয় ও অসহিংস আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে সরকার। তারা জানিয়েছে, মহাসমাবেশের আগে প্রায় ২ হাজার ৭০০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া সমাবেশ ও হরতালের দিনে মোট ৪ জন নিহত হয়েছেন বলেও দাবি করেছে দলটি।
বিএনপি বিবৃতিতে আরও অভিযোগ করেছে, সরকার মহাসমাবেশ পণ্ড করে দিতে সমাবেশস্থলে ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ ও মাইকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল।
পাশাপাশি রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলা, অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিসংযোগ ও অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিএনপি। তারা বলেছে, সরকারের এমন কঠোরতার মধ্যে দিনের আলোতে কিভাবে বিএনপির কর্মীরা এসব জায়গায় হামলা চালাবে?
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের হয়রানি ও গণগ্রেপ্তার চালাতে পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় তাদের নাম যুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এছাড়া বিভিন্ন নেতাদের বাড়িতে পুলিশ অভিযানের নামে তাণ্ডব চালিয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে দলটি।