অনলাইন ডেস্ক-
একের পর এক ব্যাটার এসেছেন আর গিয়েছেন। যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশের ২০০ রান পার করা নিয়েই ছিল শঙ্কা। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ ক্রিকেট উপহার দিলেও ফাইনালের বিগ স্টেজে এসে ক্রিজে থিতু হতেই ভুলে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ভারতের বিপক্ষে যখন বলার মতো স্কোর নেই কারো ব্যাটে, তখন লোয়ার মিডল অর্ডারের ফরিদ হাসান দায়িত্ব নিলেন দলকে বলার মতো সংগ্রহ এনে দিতে। সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন মারুফ মৃধাকে।
অবশ্য তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ৪৯তম ওভারে ফরিদও ফিরে গিয়েছেন। যাওয়ার আগে বাংলাদেশকে দুইশ রানের দোরগোড়ায় দিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তাও হয়নি ইকবাল হোসেন ইমনের ক্যাচের পর। যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে ১৯৮ রানেই অলআউট বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান এসেছে রিজান হোসেনের ব্যাট থেকে।
ইনিংসের শুরু থেকেই রানের জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে বাংলাদেশের যুবাদের। ৭ম ওভারে কালাম সিদ্দিকী আউটের আগে ১৬ বলে করেছিলেন মোটে ১ রান। সেটাই হয়ত ইঙ্গিত দেয়, ব্যাটিং পিচে ঠিক কতটা সংগ্রাম করেছে বাংলাদেশ। তবে তিনে নামা আজিজুল হাকিম তামিম কিছুটা হতাশই করেছেন। পুরো আসরে অধিনায়ক তামিম মুগ্ধতা ছড়ালেও ফাইনালে করতে পেরেছেন মোটে ১৬ রান। আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরারও ২০ রানের বেশি করতে পারেননি।
৬৬ রানে অধিনায়ক আজিজুল তামিম বিদায়ের পরেই বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডকে এগিয়ে নিয়েছেন দিনের সেরা দুই ব্যাটার রিজান এবং শিহাব জেমস। ৬৭ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় শিহাব করেছেন ৪০ রান। দলীয় ১২৮ রানে বিদায় নেন আয়ুশ মহাত্রের বলে। দেবাশীষ এসেই ফিরেছেন ৩ বলে ১ রান করে। ১৫৫ রানে ফিরে যান রিজান নিজেও। মিস করেছেন ফিফটি।
সব ব্যাটিং বিপর্যয়েই নাকি একটা করে রানআউট থাকে। ক্রিকেটের সেই অলিখিত নিয়ম মেনে ১৬৫ রানের মাথায় রান আউটের শিকার হন সামিউন বশির। দায়িত্ব নিয়ে পারেননি ফাহাদও। ফরিদ হাসান যখন একাকী দাঁড়িয়ে, তখন ১৯ বলে ১১ রান করে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন মারুফ মৃধা। নবম উইকেটে তারা যোগ করলেন ৩০ রান।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেমেছে ১৯৭ রানে। ভারতের হয়ে যুদ্ধিত গুহ, চেতন শর্মা এবং হার্দিক রাজ পেয়েছেন ২টি করে উইকেট। ১টি করে উইকেট গিয়েছে কিরণ, কেপি কার্তিকেয়া এবং আয়ুশ মহাত্রে।
অনলাইন-