আই টিভি বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রে ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে দেখা করেছেন।
বৈঠকের পর, ওয়াশিংটনে খালিস্তানপন্থি বিক্ষোভ দেখা হয়। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারকে বৈশ্বিক হত্যাকাণ্ড এবং পশ্চিমা দেশগুলোতে শিখদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির নেটওয়ার্ক পরিচালনা করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
ওয়াশিংটনে বিক্ষোভকারীরা শিখ কর্মীদের হত্যার জন্য নিষেধাজ্ঞা এবং বিচার দাবি করার সময় মোদিবিরোধী স্লোগান দেয়।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করে, জয়শঙ্কর শিখ কর্মীদের লক্ষ্যবস্তু এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করেছিলেন।
তার সফরের মূল উদ্দেশ্য, মূলত মোদি এবং শিল্পপতি গৌতম আদানির মধ্যে জোট রক্ষা করা।
হিন্দুস্তান টাইমস অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র সফরে ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসার আগে জয়শঙ্করের এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভাবা হচ্ছে। এছাড়া ট্রাম্পের টিমের সঙ্গেও জয়শঙ্কর আলোচনা করতে পারেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
জয়শঙ্কর নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, সানফ্রান্সিসকো, সিয়াটেল, হাউস্টন, আটলান্টার ভারতীয় কনসাল জেনারেলদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে খালিস্তানপন্থি শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুন হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নিখিল গুপ্তের নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আনা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, নিউইয়র্কে তারা ওই শিখ নেতাকে হত্যাচেষ্টার সম্ভাব্য ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করেছেন।
নিখিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারত সরকারের এক কর্মকর্তার নির্দেশে তিনি এটা করছিলেন। তার বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে ভাড়াটে সংগ্রহের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে পান্নুন হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে তলব করে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। সেই সঙ্গে তলব করা হয় ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিক্যাল উইংয়ের (র) সাবেক প্রধান সামন্ত গোয়েল, বিক্রম যাদব ও নিখিল গুপ্তকে।
যুক্তরাষ্ট্রের মতো ভারতের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ এনেছে কানাডাও। সেখানে খুন হন হরদীপ সিং নিজ্জর নামের আরেক খালিস্তানি নেতা। এ নিয়ে দু দেশের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক রয়েছে।